-->

আয় সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা করার নিয়ম। hisab biggan sadharon jabeda part 4 accounting journal entries

হিসাব বিজ্ঞান সাধারণ জাবেদা করার নিয়ম, নবম দশম শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা জাবেদা শেখার সহজ উপায়, accounting journal entries class, accounting mama



হিসাব বিজ্ঞান সাধারণ জাবেদা করার নিয়ম, নবম দশম শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা জাবেদা শেখার সহজ উপায়, accounting journal entries class, accounting mama



 আজ আমরা হিসাব বিজ্ঞান সাধারণ জাবেদার ০৪ নাম্বার পর্বে আলোচনা করব। পূর্বের পার্ট গুলা না দেখে থাকলে এখানে ক্লিক দিয়ে দেখে নিতে পারেন । আজকের এই পর্বে আয় সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা কিভাবে করবেন সেটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝার চেষ্টা করব।

আজকের সূত্র টি হচ্ছে>>>>

আয় হ্রাস পেলে ডেবিট

আয় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট 


এখুন আসুন আয় সমূহ কে চিনে নেই । যেমন>


আয় সমূহঃ বিক্রয়,  প্রাপ্ত ভাড়া, প্রাপ্ত কমিশন, বিনিয়গের সুদ, শিক্ষানবিস সেলামি, প্রাপ্ত উভাড়া, ব্যাংক জমার সুদ, প্রাপ্ত ঋণের সুদ।


আমরা আয় সমূহ চিনে নিলাম কিন্তু এই আয় গুলো কিভাবে বৃদ্ধি পায় আর কিভাবে হ্রাস পায়? এর আসুন জেনে নেই কিভাবে আয় বৃদ্ধি পায় ও হ্রাস পায়>>> 


যখুনই আয় হবে তখুন ই আয় বৃদ্ধি পাবে, যেমন ধরুন বিক্রয় যেটা আমরা আয় সমূহের মধ্যে প্রথমেই বলেছিলাম। পণ্য বিক্রয় করলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়। আর যখুন বিক্রয় ফেরত আসে , অর্থাৎ বিক্রিত পণ্য ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস পায়। ভাড়া প্রাপ্ত হলে প্রাপ্ত ভাড়া নামক আয় বৃদ্ধি পায়। 

অর্থাৎ আয় হলেই আয় বৃদ্ধি পায়, আর আয় ফেরত আসলে আয় হ্রাস পায়। 

এবার আসুন আমরা একটি জাবেদার মাধ্যমে বুঝার চেষ্টা করি। 

০১) পণ্য বিক্রয় নগদ ১০,০০০ টাকা।


এখানে দেখুন লেনদের টি পড়ে আমরা বুঝতে পারলাম এই লেনদেন টি নগদে সংঘটিত হয়েছিল কিভাবে বুঝলাম? কারণ লেনদেনের ভিতর নগদ কথাটি উল্লেখ আছে। এছাড়াও আমরা বলেছি বিক্রয় করলে বিক্রয় নামক আয় হয়। যেহেতু নগদ টাকায় পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে তার মানে প্রতিষ্ঠানে নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর পণ্য বিক্রয় করায় বিক্রয় নামক আয় হচ্ছে , তো আমরা আয় সংক্রান্ত সূত্রে বলেছি আয় বৃদ্ধি পেলে ডেবিট, আর আয় হ্রাস পেলে ক্রেডিট। তাই সূত্র অনুযায়ি বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট হবে। আর ডেবিট দিব কাকে?? আমাদের ০১ নাম্বার জাবেদার পর্বে সূত্রে বলেছিলাম সম্পদ বৃদ্ধি পেলে ডেবিট তাই এই জাবেদা হবে>>>


০১) নগদান হিসাব ডেবিট=১০,০০০ টাকা

বিক্রয় কিসাব ক্রেডিট=১০,০০০ টাকা

একাউন্টিং মামা, হিসাব বিজ্ঞান সাধারণ জাবেদা পার্ট ০৪। দায় সংক্রান্ত সাধারণ সাবেদা করার নিয়ম। accounting journal entries hisab biggan ay songkranto sadhor jabeda korar niyom


০২) উপভাড়া প্রাপ্তি ৬,০০০ টাকা। 

এখানে এই লেনদেন টি পড়ে আমরা কি বুঝতে পারি?? এই লেনদেন টি নগদে হলেছিল। কিন্তু কিভাবে বুঝলাম এই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল?? দেখুন উপরের এই ০২ নাম্বার লেনদেনের ভিতর নগদ, ব্যাংক , বাকিতে, ধারে কথা টি উল্লেখ নাই। যদি কোন লেনদেনের ভিতর কোন ব্যক্তির নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ থাকে আর নগদ বা ব্যাংক কথা উল্লেখ না থাকে তাহলে  বুঝে নিতে হবে সেই লেনদেন টি বাকিতে বা ধারে হয়েছিল। যেমনঃ মাসুমের নিকট ৬,০০০ টাকা। এই লেনদেন টির অর্থ হচ্ছে মাসুমের নিকট আমারা বাকিতে বিক্রয় করেছি। আবার এমন থাকতে পারে যে মাসুমের নিকট বাকিতে বিক্রয়। তাহলেও বুঝে নিতে হবে এই লেনদেন টি বাকিতে হয়েছিল। 


আর যদি কোন লেনদেনের ভিতর এভাবে লেখা থাকে যে মাসুমের নিকট হতে নগদে বিক্রয় অথবা মাসুম লিমিটেডের নিকট চেকের মাধ্যমে বিক্রয়। তাহলে  সেই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল। 


এখন আসুন আমরা ০২ নাম্বারা জাবেদার ব্যাখ্যা আকারে দেখি। লেনদেন টি ছিল। 

০২) উপভাড়া প্রাপ্তি ৬,০০০ টাকা। 

যেহেতু এই লেনদের ভিতর বাকিতে বা নগদে কিছুই উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানে নগদ ৬,০০০ টাকা উপভাড়া প্রাপ্তি হয়। তাহলে প্রতিষ্ঠানের উপভাড়া নামক আয় হয়। অন্য দিকে প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা আসায় নগদ সম্পদ হ্রাস পায়।  
তাই সূত্র অনুযায়ি এর জাবেদা হবে>>>

০২) নগদান হিসাব ডেবিট= ৬,০০০ টাকা
প্রাপ্ত উপভাড়া ক্রেডিট=৬,০০০ টাকা

০২) উপভাড়া প্রাপ্তি ৬,০০০ টাকা।   যেহেতু এই লেনদের ভিতর বাকিতে বা নগদে কিছুই উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানে নগদ ৬,০০০ টাকা উপভাড়া প্রাপ্তি হয়। তাহলে প্রতিষ্ঠানের উপভাড়া নামক আয় হয়। অন্য দিকে প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা আসায় নগদ সম্পদ হ্রাস পায়।   তাই সূত্র অনুযায়ি এর জাবেদা হবে>>>  ০২) নগদান হিসাব ডেবিট= ৬,০০০ টাকা প্রাপ্ত উপভাড়া ক্রেডিট=৬,০০০ টাকা
  

--------------------------------------------

০৩) বিনিয়গের সুদ পাওয়া গেলো ৪,০০০ টাকা।

যেহেতু এই লেনদেনের ভিতর নগদ বা ব্যাংক কথা টি উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল। অর্থাৎ নগদে বিনিয়োগের সুদ পাওয়ায় বিনিয়োর সুদ নামক আয় হয় আর নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই এর জাবেদা হবে>>>>>


০৩) নগদান হিসাব ডেবিট=৪,০০০ টাকা
বিনিয়োগের সুদ হিসাব ক্রেডিট=৪,০০০ টাকা

০৩) বিনিয়গের সুদ পাওয়া গেলো ৪,০০০ টাকা।  যেহেতু এই লেনদেনের ভিতর নগদ বা ব্যাংক কথা টি উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি নগদে হয়েছিল। অর্থাৎ নগদে বিনিয়োগের সুদ পাওয়ায় বিনিয়োর সুদ নামক আয় হয় আর নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই এর জাবেদা হবে>>>>>  ০৩) নগদান হিসাব ডেবিট=৪,০০০ টাকা বিনিয়োগের সুদ হিসাব ক্রেডিট=৪,০০০ টাকা


----------------------------------


০৪) চেকে ঋণের সুদ পাওয়া গেলো ৩,০০০ টাকা।

চেকের মাধ্যমে ঋণের সুদ পাওয়া গেলে ব্যাংক নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায় আর ঋণের সুদ পাওয়ায় ঋণের সুদ নামক আয় বৃদ্ধি পায় । তাই এর জাবেদা হবে

৪) ব্যাংক হিসাব ডেবিট=৩,০০০ টাকা
প্রাপ্ত ঋণের সুদ হিসাব ক্রেডিট= ৩,০০০ টাকা 

০৪) চেকে ঋণের সুদ পাওয়া গেলো ৩,০০০ টাকা।  চেকের মাধ্যমে ঋণের সুদ পাওয়া গেলে ব্যাংক নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায় আর ঋণের সুদ পাওয়ায় ঋণের সুদ নামক আয় বৃদ্ধি পায় । তাই এর জাবেদা হবে  ৪) ব্যাংক হিসাব ডেবিট=৩,০০০ টাকা প্রাপ্ত ঋণের সুদ হিসাব ক্রেডিট= ৩,০০০ টাকা


----------------------------


এবার অন্য রকম একটি লেনদেন দেখি> 

০৫) বিক্রয় কৃত পণ্য নষ্ট থাকায় ২,০০০ টাকার পণ্য ফেরত আসল।

দেখুন যখুন আমরা বিক্রয় করি তখুন আমাদের বিক্রয় নামক আয় হয় অর্থাৎ বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায় তখুন  এর জাবেদা হয় বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট । কিন্তু বিক্রয় ফেরত আসলে তার জাবেদা হয় বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট, কারণ বিক্রয় ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস  পায় । তাই সূত্র অনুযায়ি বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট। কিন্তু কেডিট দিব কাকে?? 

 আপনরা কি জানেন বিক্রয় ফেরত কখুন হয়?? যখুন বাকিতে কোনো কিছু বিক্রয় করা হয় এবং বিক্রয়-কৃত পণ্য নষ্ট থাকা সাপেক্ষে বিক্রয় ফেরত দেয়া হয়। অর্থাৎ আপনি বাকিতে কোন কিছু বিক্রয় করেছিলেন এখন আপনার বিক্রয়-কৃত পণ্য আপনার ক্রেতা বাড়িতে নিয়ে দেখল কিছু পণ্য নষ্ট । তো তিনি অবশ্যই সেই নষ্ট পণ্য ফেরত দিবেন।

যখুন বাকিতে কোনো কিছু বিক্রয় করা হয় তখুন বিক্রয় নামক আয় হয় পক্ষান্তরে দেনাদার নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তখুন তার জাবেদা হয় । দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট। 

কিন্তু যখন বাকিতে বিক্রিত পণ্য ফেরত আসে তখুন তার জাবেদা হয় বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট আর দেনাদার হিসাব ক্রেডিট কারন । বাকিতে বিক্রিত পণ্য ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস পায় আর দেনাদার নামক সম্পদ হ্রাস পায় । তাই ০৫ নাম্বার লেনদেনের জাবেদা হবে {(০৫) বিক্রয় কৃত পণ্য নষ্ট থাকায় ২,০০০ টাকার পণ্য ফেরত আসল}>>>


০৫) বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট=২,০০০ টাকা
দেনাদার হিসাব ক্রেডিট=২,০০০ টাকা 

০৫) বিক্রয় কৃত পণ্য নষ্ট থাকায় ২,০০০ টাকার পণ্য ফেরত আসল।  দেখুন যখুন আমরা বিক্রয় করি তখুন আমাদের বিক্রয় নামক আয় হয় অর্থাৎ বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায় তখুন  এর জাবেদা হয় বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট । কিন্তু বিক্রয় ফেরত আসলে তার জাবেদা হয় বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট, কারণ বিক্রয় ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস  পায় । তাই সূত্র অনুযায়ি বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট। কিন্তু কেডিট দিব কাকে??    আপনরা কি জানেন বিক্রয় ফেরত কখুন হয়?? যখুন বাকিতে কোনো কিছু বিক্রয় করা হয় এবং বিক্রয়-কৃত পণ্য নষ্ট থাকা সাপেক্ষে বিক্রয় ফেরত দেয়া হয়। অর্থাৎ আপনি বাকিতে কোন কিছু বিক্রয় করেছিলেন এখন আপনার বিক্রয়-কৃত পণ্য আপনার ক্রেতা বাড়িতে নিয়ে দেখল কিছু পণ্য নষ্ট । তো তিনি অবশ্যই সেই নষ্ট পণ্য ফেরত দিবেন।  যখুন বাকিতে কোনো কিছু বিক্রয় করা হয় তখুন বিক্রয় নামক আয় হয় পক্ষান্তরে দেনাদার নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তখুন তার জাবেদা হয় । দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট।   কিন্তু যখন বাকিতে বিক্রিত পণ্য ফেরত আসে তখুন তার জাবেদা হয় বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট আর দেনাদার হিসাব ক্রেডিট কারন । বাকিতে বিক্রিত পণ্য ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস পায় আর দেনাদার নামক সম্পদ হ্রাস পায় । তাই ০৫ নাম্বার লেনদেনের জাবেদা হবে {(০৫) বিক্রয় কৃত পণ্য নষ্ট থাকায় ২,০০০ টাকার পণ্য ফেরত আসল}>>>   ০৫) বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট=২,০০০ টাকা দেনাদার হিসাব ক্রেডিট=২,০০০ টাকা



-------------------

___________________________



আরও পড়ুন>


সম্পদ সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা

ব্যয় সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা

দায় সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা

আয় সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা

মালিকানা স্বত্ব সংক্রান্ত সাধারণ জাবেদা

মুনাফাবিহীন পণ্য বিক্রয় জাবেদা। 

মালিক কর্তৃক পণ্য উত্তোলন জাবেদা । 

 আগুনে বিনষ্ট পণ্য সাধারন জাবেদা ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়। 

বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে পন্য উত্তোলন জাবেদা


____________________



০৬) জামালের নিকট পণ্য বিক্রয় ১৫,০০০ টাকা। 
 
এ লেনদেনের ভিতর একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে আর নগদ অথবা ব্যাংক কথা উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি বাকিতে হয়ে ছিল। তো জামালের নিকট বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়, আর বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়। তাই সূত্র অনুযায়ি দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট।

তাই ০৬ নাম্বারের জাবেদা হবে>>
 ০৬) দেনাদার (জামাল) হিসাব ডেবিট= ১৫,০০০ টাকা
বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট=১৫,০০০ টাকা

০৬) জামালের নিকট পণ্য বিক্রয় ১৫,০০০ টাকা।    এ লেনদেনের ভিতর একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে আর নগদ অথবা ব্যাংক কথা উল্লেখ নাই তাই এই লেনদেন টি বাকিতে হয়ে ছিল। তো জামালের নিকট বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়, আর বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়। তাই সূত্র অনুযায়ি দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট।  তাই ০৬ নাম্বারের জাবেদা হবে>>  ০৬) দেনাদার (জামাল) হিসাব ডেবিট= ১৫,০০০ টাকা বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট=১৫,০০০ টাকা


--------------------------- 

০৭) জামালের নিকট হতে পণ্য ফেরত পাওয়া গেলো ৫,০০০ টাকা।

এই লেনদেন পড়ে আমরা বুঝতেছি ০৬ তারিখে যে আমরা পণ্য বিক্রয় করেছিলাম তার থেকে ৫,০০০ টাকার পণ্য ফেরত পাঠায়। ০৬ নাম্বার লেনদেন টি ছিল বাকিতে বিক্রয়। তো তার জাবেদা ছিল দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট। কারণ জামালের নিকট বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়, আর বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই ০৭ নাম্বার জাবেদাতে জামালের নিকট থেকে পণ্য ফেরত আসে অর্থাৎ আমরা যে ১৫,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করে ছিলাম জামালের নিকট সেই বিক্রয়ের ৫,০০০ টাকা ফেরত আসে । 

তো বিক্রয় ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস পায়, আর দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ হ্রাস পায়। তো সূত্র অনুযায়ি আয় হ্রাস পেলে ডেবিট হয় আর সম্পদ হ্রাস পেলে ক্রেডিট হয়। তাই  ০৭ *(জামালের নিকট হতে পণ্য ফেরত পাওয়া গেলো ৫,০০০ টাকা) নাম্বারের জাবেদা হবে>>>

০৭) বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট=৫,০০০ টাকা
দেনাদার হিসাব ক্রেডিট=৫,০০০ টাকা

এখানে একটি কথা মনে রাখবেন আয়ের সাথে সম্পদের সম্পর্ক অর্থাৎ বাকিতে বিক্রয় হলে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে । অর্থাৎ বাকিতে বিক্রয় করা হলে দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল নামক সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বিক্রয় ফেরত আসলে  দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল এই সম্পদ গুলা হ্রাস পাবে।  দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল তিন টা একই জিনিস। 

০৭) জামালের নিকট হতে পণ্য ফেরত পাওয়া গেলো ৫,০০০ টাকা।  এই লেনদেন পড়ে আমরা বুঝতেছি ০৬ তারিখে যে আমরা পণ্য বিক্রয় করেছিলাম তার থেকে ৫,০০০ টাকার পণ্য ফেরত পাঠায়। ০৬ নাম্বার লেনদেন টি ছিল বাকিতে বিক্রয়। তো তার জাবেদা ছিল দেনাদার হিসাব ডেবিট আর বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট। কারণ জামালের নিকট বাকিতে পণ্য বিক্রয় করায় দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়, আর বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই ০৭ নাম্বার জাবেদাতে জামালের নিকট থেকে পণ্য ফেরত আসে অর্থাৎ আমরা যে ১৫,০০০ টাকার পণ্য বিক্রয় করে ছিলাম জামালের নিকট সেই বিক্রয়ের ৫,০০০ টাকা ফেরত আসে ।   তো বিক্রয় ফেরত আসলে বিক্রয় নামক আয় হ্রাস পায়, আর দেনাদার বা প্রাপ্য হিসাব নামক সম্পদ হ্রাস পায়। তো সূত্র অনুযায়ি আয় হ্রাস পেলে ডেবিট হয় আর সম্পদ হ্রাস পেলে ক্রেডিট হয়। তাই  ০৭ *(জামালের নিকট হতে পণ্য ফেরত পাওয়া গেলো ৫,০০০ টাকা) নাম্বারের জাবেদা হবে>>>  ০৭) বিক্রয় ফেরত হিসাব ডেবিট=৫,০০০ টাকা দেনাদার হিসাব ক্রেডিট=৫,০০০ টাকা  এখানে একটি কথা মনে রাখবেন আয়ের সাথে সম্পদের সম্পর্ক অর্থাৎ বাকিতে বিক্রয় হলে সম্পদ বৃদ্ধি পাবে । অর্থাৎ বাকিতে বিক্রয় করা হলে দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল নামক সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বিক্রয় ফেরত আসলে  দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল এই সম্পদ গুলা হ্রাস পাবে।  দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব , প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল তিন টা একই জিনিস।


-------------------------------------------------

০৮) ব্যাংক জমার সুদ ১,০০০ টাকা। 

প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব আছে সেই ব্যাংকের জমা টাকার উপর সুদ প্রদান করে ১,০০০ টাকা , ব্যাংক থেকে যেই সুদ দেয়া হয় সেই সুদ ব্যাংক একাউন্টেই থেকে  যায়। তার মানে ব্যাংকে যদি ১০,০০০ টাকা জমা থাকে আর এই জমা টাকার উপর সুদ দেয় ১,০০০ টাকা তাহলে আমাদের ব্যাংকের জমা টাকার সাথে এই সুদের টাকা যোগ হবে । তাহলে আগে ব্যাংকে হিসাবে জমা ছিল ১০,০০০, এখুন সেটা ১০০০ টাকা সুদ পেয়ে হয়ে গেলো ১১,০০০ টাকা। 

অর্থাৎ ব্যাংক থেকে সুদ পেলে ব্যাংক নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়। অন্য দিকে সুদ পাওয়াতে সুদ নামক আয় বৃদ্ধি পায়। তাই ০৮ (ব্যাংক জমার সুদ ১,০০০ টাকা) নাম্বারের জাবেদা হবে>>>

০৮) ব্যাংক হিসাব ডেবিট=১,০০০ টাকা
 ব্যাংক জমার হিসাব সুদ ক্রেডিট=১,০০০

০৮) ব্যাংক জমার সুদ ১,০০০ টাকা।   প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব আছে সেই ব্যাংকের জমা টাকার উপর সুদ প্রদান করে ১,০০০ টাকা , ব্যাংক থেকে যেই সুদ দেয়া হয় সেই সুদ ব্যাংক একাউন্টেই থেকে  যায়। তার মানে ব্যাংকে যদি ১০,০০০ টাকা জমা থাকে আর এই জমা টাকার উপর সুদ দেয় ১,০০০ টাকা তাহলে আমাদের ব্যাংকের জমা টাকার সাথে এই সুদের টাকা যোগ হবে । তাহলে আগে ব্যাংকে হিসাবে জমা ছিল ১০,০০০, এখুন সেটা ১০০০ টাকা সুদ পেয়ে হয়ে গেলো ১১,০০০ টাকা।   অর্থাৎ ব্যাংক থেকে সুদ পেলে ব্যাংক নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়। অন্য দিকে সুদ পাওয়াতে সুদ নামক আয় বৃদ্ধি পায়। তাই ০৮ (ব্যাংক জমার সুদ ১,০০০ টাকা) নাম্বারের জাবেদা হবে>>>  ০৮) ব্যাংক হিসাব ডেবিট=১,০০০ টাকা  ব্যাংক জমার হিসাব সুদ ক্রেডিট=১,০০০



---------------------------------------

০৯) শিক্ষানবিস সেলামি পাওয়া গেলো ৭,০০০ টাকা। 

শিক্ষানবিস সেলামি পাওয়া গেলে শিক্ষানবিস সেলামি নামক আয় বৃদ্ধি পায়, অন্য দিকে এই লেনদের ভিতরে নগদ অথবা ব্যাংক কথা টি উল্লেখ না থাকায় আমরা বুঝতে পারি এই দেনলেন টি নগদে হয়েছিল। অর্থাৎ নগদে শিক্ষানবিস সেলামি পাওয়ায় শিক্ষানবিস সেলামি নামক আয় বৃদ্ধি পায় অন্য দিকে প্রতিষ্ঠানে নগদ সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই ০৯ নাম্বারের জাবেদা হবে 

০৯) নগদান হিসাব ক্রেডিট= ১,০০০ টাকা
 শিক্ষানবিস সেলামি হিসাব ক্রেডিট= ১,০০০ টাকা


এখানে একটি কথা মনে রাখবেন, শিক্ষানবিস সেলামি প্রতিষ্ঠানের জন্যে আয়, আর শিক্ষানবিস ভাতা প্রতিষ্ঠানের জন্যে ব্যয়।


একাউন্টিং মামা, হিসাব বিজ্ঞান সাধারণ জাবেদা পার্ট ০৪। দায় সংক্রান্ত সাধারণ সাবেদা করার নিয়ম। accounting journal entries hisab biggan ay songkranto sadhor jabeda korar niyom 

১০) চেকের মাধ্যমে বিক্রয় ৩,০০০ টাকা।

চেকের মাধ্যমে বিক্রয় করায় ব্যাংক নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায় আর বিক্রয় নাময় আয় বৃদ্ধি পায়। তাই এর জাবেদা হবে>>>

১০) ব্যাংক হিসাব ডেবিট=৩,০০০ টাকা
বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট=৩,০০০ টাকা 

-----------------------------
১১) প্রাপ্য বিলে বিক্রয় ৫,০০০ টাকা।

আমরা জানি প্রাপ্য বিল একটি সম্পদ, যেটা আমরা ০১ নাম্বার জাবেদা পার্টে সম্পদ সমূহের মধ্যে দেখে ছিলাম । তো প্রাপ্য বিলে মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করলে প্রাপ্য বিল নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায় আর বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায় , তাই ১১ নাম্বারের জাবেদা হবে>>>

১১) প্রাপ্য বিল হিসাব ডেবিট=৫,০০০ টাকা
বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট=৫,০০০ টাকা 
-------------------------

১২) সুমন লিমিডেটের নিকট পণ্য বিক্রয় করে প্রাপ্য নোট পাওয়া গেলো ৬,০০০ টাকা।

এই লেনদেনে খেয়াল করে দেখুন একটি কোম্পানির নাম উল্লেখ আছে আর প্রাপ্য নোট কথা উল্লেখ আছে । তার মানে এই লেনদেন টি বাকিতে হয়েছে ,এখানে একটি কথা মনে রাখবেন দেনাদার , প্রাপ্য হিসাব, প্রাপ্য নোট, প্রাপ্য বিল একই জিনিস। বাকিতে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এই হিসাব গুলো ব্যবহৃত হয়। 

তো প্রাপ্য নোটে পণ্য বিক্রয় করা হলে বিক্রয় নামক আয় বৃদ্ধি পায়, আর প্রাপ্য নোট নামক সম্পদ বৃদ্ধি পায়। তাই ১২ নাম্বারের জাবেদা হবে>>>

১২)
প্রাপ্য নোট হিসাব ডেবিট=৬,০০০ টাকা
বিক্রয় হিসাব ক্রেডিট=৬,০০০ টাকা 
----------------------
এই ভিডিও পর্ব টি ইউটিউব চ্যানেলে দেখলে দেখলে পারেন......

 তো শিক্ষার্থী বন্ধুরা ব্লগ পোস্ট পড়ে সব ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে না পারলে আমাদের ভিডিও টিউটরিয়াল দেখতে পারেন youtube থেকে।


keyword
চলতি সম্পদ কাকে বলে ও কি কি ,হিসাব বিজ্ঞান নীতিমালা সাধারণ জাবেদা, #principal_of_accounting_general_journal_for_bba_part2 #accounting_mama accounting basics, ssc hisab vigyan math solution,hisab biggan class,accounting equation class 11,accounting class 9-10 chapter 2,accounting class 9-10, হিসাব বিজ্ঞান নবম দশম, হিসাব বিজ্ঞান class 9-10,How to do journal entries in accounting,How to do journal in accounting,How to do journal writing,Easy way to do journal,What is journal,General journal,Adjustment journal entry,Rectifying journal entry,Accounting bangla tutorial,Journal in bangla,Debit Credit and journal,Formula of journal,Rules of debit credit,,হিসাববিজ্ঞান,Introduction to accounting,Basic accounting, How to make journal entries in bangla,হিসাব বিজ্ঞান বই,হিসাব বিজ্ঞানের স্বর্ণ সূত্র কি, হিসাব বিজ্ঞান প্রশ্ন,হিসাব বিজ্ঞান লেনদেন,হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা,hisab biggan class 9,hisab biggan 1st paper,hisab biggan Tutorial,accounting Tutorial bangla,হিসাব বিজ্ঞান টিউটোরিয়াল বাংলা,হিসাব বিজ্ঞানের সূত্র,হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা,জাবেদা সমূহ, জাবেদা শেখার সহজ উপায়,নবম, শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা,হিসাব বিজ্ঞান জাবেদা সৃজনশীল,জাবেদা সূত্র, হিসাব বিজ্ঞান খতিয়ান, হিসাব বিজ্ঞান রেওয়ামিল,হিসাব বিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর,হিসাব বিজ্ঞান নবম দশম খতিয়ান,জাবেদা প্রশ্ন ও উত্তর ssc,নবম শ্রেণির হিসাব বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর,খতিয়ান সৃজনশীল প্রশ্ন, জাবেদা প্রশ্ন ও উত্তর,ডেবিট ক্রেডিট চেনার উপায়,জাবেদা দাখিলা,জাবেদা অংক,হিসাববিজ্ঞান জাবেদা, জাবেদা প্রশ্ন ও উত্তর hsc,ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়ের সূত্র,নবম দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান সৃজনশীল প্রশ্ন, ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়ের ঘর,জাবেদা প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ, জাবেদার উদাহরণ,আধুনিক পদ্ধতিতে ডেবিট-ক্রেডিট নির্ণয়,লেনদেনের ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয় চলতি দায় কাকে বলে ও কি কি , দীর্ঘমেয়াদী দায় কাকে বলে ও কি কি , দীর্ঘমেয়াদী সম্পদ কাকে বলে ও কি কি ? সব এক সাথে উদাহরণ সহ দেখুন colti day kake bole O ki ki sompod kake bole dirgho meyadi sompod , odrishoman sompod চলতি সম্পদ , চুলতি দায় , দীর্ঘমেয়াদি দায়আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে ফলো করুন, আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক করতে এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে নিয়মিত আপডেট জানুন, আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হতে  এখানে ক্লিক করুন । 


আমাদের ঈউটিউব চ্যানেলঃ accountingmama


যারা হিসাব বিজ্ঞানে অত্যাধিক দুর্বল এবং খুব সহজেই হিসাব বিজ্ঞান বুঝতে শিখতে চান তারা আমাদের এই একাউন্টিং মামা চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।আমাদের ফেইসবুক পেইজ ফলো করুণ, ও ফেইসবুক গ্রুপে জয়েন হন।